সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন
আব্দুল আলীম, কালের খবর : সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের সর্বত্রই দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে কথিত পুলিশ সোর্স আল আমিন। এক সময় সে বিএনপির ক্যাডার, ছিনতাইকারি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়লে জনরোস থেকে বাঁচতে চিটাগাংরোডে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করে ছিল। কিছুদিন আত্মগোপন থাকার পর অনুকুল পরিবেশ বুঝে আবারও স্বরূপে ফিরে আসে সে। ব্যক্তিগত জীবনে কোন রকমে হাই স্কুলের গন্ডি পেড়িয়ে সে নিজেকে কখনো পুলিশের দারোগা, কখনো জাতীয় সমকাল পত্রীকার স্টাফ রিপোর্টার (সাংবাদিক) আবার কখনো নিজেকে মাস্টার, ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নানা কু-কর্ম করে থাকে। সম্প্রতি আল আমিন নিজেকে সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়। তার এসকল অপকর্মের জন্য এলাকাবাসী কয়েক বার সতর্ক করে।
শোনা যায় সে সোনারগাঁ থানার দুই এক জন দারোগার সোর্স হিসাবে কাজ করে। তাই পুলিশের প্রভাব খাটিঁয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সোর্স আল আমিন।
গত মে মাসে ২০ তারিখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ডের যাত্রীসেবা পরিবহণের কাউন্টারের থেকে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৩শত টাকা জোড় করে আদায় করে নেয়। পরে সুপার ভাইজার সুমন তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে সমকাল পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার পরিচয় দেয় এবং সমকাল পত্রিকার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চলে যায়।
অপর দিকে তার এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার সখ্যতা আছে বলে জানা যায়। তার আশপাশ এলাকার মাদক ব্যবসা চললেও সে ওই ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে কখনো পুলিশকে কোন তথ্য দিয়ে সহায়তা করে নাই। বরং পুলিশের অপারেশনের খবর মাদক ব্যবসায়ীদের দিয়ে তাদের পলায়নে সহায়তা করে। এ কাজের জন্য সে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাশহারা নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, মাদক ক্রেতাদের মধ্যে যাদের কাছে অধিক পরিমানে টাকা আছে বা আদায় করা যাবে বলে মনে করে তাদেরকে দারোগা দিয়ে গ্রেফতার করায়। পরে তাদের কাছে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা দাবী করে। এবং দাবী পূরণ হলেই মামলা বা আটক না করেই ছেড়ে দেয়। কাঁচপুর এলাকাতে এ রমজান মাসেই ১০/১২টির মত এমন ঘটনা ঘটেছে।
শুধু মাদক ক্রেতারাই নয় বরং টাকার সন্ধান পেলে সাধারণ জনগনের পকেটে গাঁজা, ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে নানা রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে আদায় করে মোটা অংকের টাকা।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কাঁচপুরের লাভলী সিনেমা হল, স্থানীয় তফছিল অফিস, বাস স্ট্যান্ডের হকার, টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস কাউন্টার, জুয়া স্পট এমনকি ভাসমান পতিতা কাছ থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী তাকে অতিসত্তর আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক।
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন।